বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসার সময় শুল্ক বা টেক্স ছাড়া এবং শুল্ক বা টেক্স দিয়ে কি কি পন্য বা মালামাল আনতে পারবেন

বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসার সময় শুল্ক বা টেক্স ছাড়া এবং শুল্ক বা টেক্স দিয়ে কি কি পন্য বা মালামাল আনতে পারবেন


Posted on: 2022-06-28 22:58:50 | Posted by: eibbuy.com
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসার সময় শুল্ক বা  টেক্স  ছাড়া  এবং  শুল্ক বা টেক্স দিয়ে   কি কি পন্য বা মালামাল  আনতে পারবেন

আমাদের মধ্যে যারা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরেন তারা অনেক পন্য  বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চান।  এর মধ্যে যারা বাংলাদেশের প্রবাসী তাদের অনা পন্য বা মালামাল এর সংখ্যা বেশি থাকে। অনেকেই আমাদের ফেসবুক পেইজে মেসেজ করেন, বিদেশ থেকে কি কি অনা বৈধ এবং কি কি  পন্য শুল্ক লাগে না আবার কি কি পন্য শুল্ক লাগে। আজকের পর্বে তাদের জন্য। আজকের পর্বে আমরা অলোচনা করব  বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসার সময় শুল্ক বা টেক্স  ছাড়া  এবং  শুল্কে বা টেক্স দিয়ে   কি কি পন্য বা মালামাল  আনা যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত অলোচনা করব এবং আলোচনা করব লাগেজ আইন এবং সর্বশেষ আলোচনা করব DM করা যে কোন পন্য কিভাবে ক্লিয়ারিং করতে হবে। চলুন শুরু করা যাক।

১. স্বর্ণ বার : যে কোন পরিমাণ স্বর্ণের বার  আনলে শুল্ক-করাদি (প্রতি ১১.৬৭ গ্রাম এর জন্য ৩,০০০ টাকা) পরিশোধ করতে হবে। তবে আপনি  ২৩৪ গ্রাম পর্যন্ত আনতে পারবেন এর বেশি আনতে পারবেন না । এর বেশি আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত স্বর্ণ বার পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় CCI&E দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন। তবে সরকার এর কাস্টমস কর্মকর্তা যদি মনে করে  চোরাচালান বলে মনে হলে সরাসরি ফৌজদারি মামলা করবে। এ ছাড়া আপনি যদি টেক্স না দিয়ে বের হয়ে যান এবং কাস্টমস গোয়েন্দা যদি চেকিং করে টেক্স এর পেপার না পায় তাহলেও ( DM) করবে। এবং জরিমানা দিয়ে স্বর্ণ বের করতে হবে। (DM) পেপার যে কারো কাছে দিবেন না, যে কেউ বের করে পেলবে এবং যে সকল সিএন্ড এপ কম রেটে বের করে দিবে তাকে দিবেন না, এ ক্ষেত্রে আপনি সরাসরি কাস্টমস কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। স্বর্ণের বার কখনো সাইড ব্যাগে বা অন্য কোন স্থানে রাখবেন না।  নিজের কাছে রাখবেন।
২. স্বর্ণালংকার :  যে কোন স্বর্ণালংকার ১০০ গ্রাম পর্যন্ত অনতে পারবেন আপনার সাথে করে  ( তবে এক প্রকারের অলংকার ১২ টির অধিক আনতে পারবেন না ) এ পরিমাণ  শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। এর বেশি আনলে অতিরিক্ত প্রতি গ্রাম এর জন্য প্রায় ১,৫০০ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। তবে ১০০ গ্রাম এর বেশি  বাণিজ্যিক পরিমান বলে মনে হলে কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত স্বর্ণালংকার পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় CCI দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন। আর চোরাচালান বলে মনে হলে কাস্টমস সরাসরি ফৌজদারি মামলা করবে। যদি আপনি কাস্টমসকে না জানান তাহলে কাস্টমার আপনার স্বর্ণ আটক করবে এবং চোরাচালান হিসেবে চিহ্নিত করবে। বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।


 ৩. মোবাইল ফোন : ২ টি শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। ৩-৫ টি পর্যন্ত শুল্ক-করাদি (প্রায় ৩৫%) পরিশোধ সাপেক্ষে আনতে পারবেন।  তবে সাধারণত ২ নতুন মোবাইল ফোন এর বেশি আনতে যাবেন না । সাধারণত এর বেশি আনলে কাস্টমস কর্মকর্তা আটক করতে পারে। নতুন যে দুটি ফোন বিদেশ থেকে নিয়ে আসবেন আবশ্যক ক্রয় রশিদ থাকতে হবে।  এ ছাড়া ৩ -৫ টির বেশি মোবাইল আনলে   বাণিজ্যিক বিবেচনায় কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত মোবাইল ফোন Adjudication প্রক্রিয়ায় BTRC দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন। তবে মোবাইল কাস্টমস আটক করলে ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
৪. ল্যাপটপ : ১ টি ল্যাপটপ সাথে করে  শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। ২ টি পর্যন্ত শুল্ক-করাদি (প্রায় ২০%) পরিশোধ সাপেক্ষে আনতে পারবেন তবে শুল্ক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হতে পারে । দুটির  বেশি আনলে বাণিজ্যিক বিবেচনায় কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত ল্যাপটপ পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় CCI দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন।

৫.  নতুন শাড়ী/অন্যান্য কাপড়/কসমেটিক্স :
ব্যাক্তিগত বিবেচনায় কয়েকটি পর্যন্ত শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন তবে সেটা এমন বেশি হওয়া যাবে না যেটা দেখে ব্যবসায়ী উদ্দেশ্য মনে হয়। আপনি এই পর্যন্ত শুল্ক ছাড়া নিয়ে আসতে পারবেন । তবে এর বেশি হলে  শুল্ক-করাদি (প্রায় ১৬০%) পরিশোধ সাপেক্ষে আনতে পারবেন তবে এর বেশি আনতে হলে কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিবেন। কাস্টমস ক্লিয়ারিং করে পরে পন্য বের করতে হবে । এর বেশি আনলে বাণিজ্যিক বিবেচনায় কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত পণ্য পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় CCI দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন।


৬ . ওষুধ : জরুরী বিবেচনায় প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে কিছুটা আনতে পারবেন। তবে বাংলাদেশ সরকার যে সকল বিদেশি ওষুধ অনুমোদন দেয় না এ সকল আনবে না। আনলে কাস্টমস কর্মকর্তা তা বাজেয়াপ্ত করবে, এবং প্রয়োজনে আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে।  বাণিজ্যিক পরিমান বলে মনে হলে কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত ওষুধ পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় DGDA দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন। তবে এ অনুমতি যে কেউ নিতে পারেন না।


৭ . বৈদেশিক মুদ্রা : বিদেশে যাওয়ার সময় পাসপোর্টে এনডোরসমেন্ট করা ছাড়া  [বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাংক  ব্যাতিত] কোন বৈদেশিক মুদ্রা সাথে নিতে পারবেন না। তবে বাংলাদেশী মুদ্রায় সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা এনডোরসমেন্ট ছাড়াই সাথে নিতে পারবেন। একজন বহির্গামী যাত্রী এক  বছরে সার্কভুক্ত দেশ এবং মিয়ানমারে সর্বোচ্চ ৫,০০০ মার্কিন ডলার/সমপরিমান এবং অন্যান্য দেশে সর্বোচ্চ ৭,০০০ মার্কিন ডলার/সমপরিমান অর্থাৎ বছরে সর্বমোট সর্বোচ্চ ১২,০০০ মার্কিন ডলার/সমপরিমান বৈদেশিক মুদ্রা এনডোরসমেন্ট  সাপেক্ষে নিয়ে যেতে পারেন।
১২ বছর এর কম বয়সী যাত্রীদের ক্ষেত্রে এ সীমা অর্ধেক। সর্বোচ্চ ৫,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত নগদ মুদ্রায় ইস্যু করা হয়। এনডোরস ব্যাতিত বৈদেশিক মুদ্রা সাথে নিলে কাস্টমস আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আর মুদ্রা পাচার বলে মনে হলে কাস্টমস সরাসরি ফৌজদারি মামলা করবে। বিদেশ থেকে ফেরার সময় ইচ্ছেমত বৈধ বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারবেন। তবে ৫,০০০ ডলার/সমমান এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আনলে অবশ্যই কাস্টমস এর নিকট FMJ ফরম-এ ঘোষণা প্রদান করতে হবে।


৮. টেলিভিশন : ২১” পর্যন্ত ১ টি শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। ২২”-২৯” হলে ৫,০০০ টাকা, ৩০”-৩৬” হলে ১০,০০০ টাকা, ৩৭”-৪২” হলে ২০,০০০ টাকা, ৪৩”-৪৬” হলে ৩০,০০০ টাকা, ৪৭”-৫২” হলে ৫০,০০০ টাকা, ৫৩” এর বেশি হলে ৭০,০০০ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। তবে এ পরিম পর্যন্ত অনতে পারবেন। এর বেশ আনলে বানিজ্যিক উদ্যেশ্য হিসেবে বিবেচনা করবে।  কাস্টমস কর্মকর্তা আপনার পন্য আটক করবে। আটক  রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত পণ্য পরবর্তীতে Adjudication প্রক্রিয়ায় CCI দপ্তরের ছাড়পত্র উপস্থাপন, শুল্ক-করাদি এবং অর্থদন্ড পরিশোধ সাপেক্ষে ফেরত পেতে পারেন।


৯. মদ/মদ জাতীয় পানীয় : বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী নাগরিকদের জন্য মদ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। প্রয়োজনে আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ছাড়া মদ ছাড়া যেমন কোকেন, হিরোইন এ জাতীয় মাদক আপনার কাছে থাকলে আপনাকে কাস্টমস কর্মকর্তা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য এবং মাদক আইনে আপনার কারাদণ্ড হবে।  বিদেশী পাসপোর্টধারী নাগরিক হলে ১ লিটার পর্যন্ত আনতে পারবেন। কোন বিদেশি নাগরিক  মদ ছাড়া যেমন কোকেন, হিরোইন এ জাতীয় মাদক পেলে  কাস্টমস কর্মকর্তা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য এবং মাদক আইনে আপনার কারাদণ্ড হবে।  বেশি আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত মদ সরকারি বিধি মোতাবেক বিক্রয়/ধ্বংসযোগ্য, তাই ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নাই।


১০ . সিগারেট : ১ কার্টন (২০০ শলাকা) পর্যন্ত সিগারেট শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। এর বেশি আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। আটক রশিদ (DM) বুঝে নিবেন। আটককৃত সিগারেট সরকারি বিধি মোতাবেক বিক্রয়/ধ্বংসযোগ্য, তাই ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নাই। তাই কেউ না বুঝে নিয়ে আসবেন না।

সাময়িক আটক করা পন্য জরিমানা দিয়ে বের করার টাকা না থাকলে কি হবে??
শুল্ক-করাদি পরিশোধ করা এবং  খালাসযোগ্য পণ্যে যদি কোন কারণে কাস্টমস আটক করে এবং জরিমানা ও  শুল্ক-করাদি পরিশোধ করার মত টাকা সাথে না থাকলেও ভয়ের কিছু নেই। সেক্ষেত্রে কাস্টমস  আটক করা পন্যের রশিদ (DM) বুঝে কপি দিয়ে দিবে। আপনি সেটি বুঝে  নিবেন। যদি আপনি কোন ঝামেলা লক্ষ করেন যেমন টাকা চাচ্ছে বা টেক্স দেওয়ার পরও আটক করতে চায় তাহলে আপনি এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানান তারা এটি গুরুত্ব দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে  ব্যাবস্থা নিবে।  আপনি যদি DM করা যে কোন খালাস যোগ্য পন্য বের করতে চান তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
অপরিচিত ব্যাক্তির দেওয়া  ব্যাগেজ-কে কখনো  বিশ্বাস করবেন না। তিনি যদি কোন অবৈধ পন্য দিয়ে থাকে তাহলে এর দায় সম্পর্ন আপনার ।  তাই না জেনে অন্য কারো দেওয়া মালামাল বহন করবেন না। দেশ থেকে যারা বিদেশ যান তারাও এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। আপনার একটি ভুলের কারণে আপনার সারা জীবন ভুগতে হবে। তাই আমদের যে কারো লাগেজ যদি নিতে তাহলে অবশ্যই খুলে দেখুন, যদি মনে হয় এ পন্য অবৈধ তাহলে সেটি আপনি না জানলে গুগলে সার্চ দিয়ে জানুন বা কোন অভিজ্ঞ ব্যাক্তির পরামর্শ নিন। কোন অবস্থায় অবৈধ মালামাল বহন করবেন না। কারন এর দায় আপনাকেই নিতে হবে।
গোপণ সংবাদদাতার পুরস্কার :
স্বর্ণ/বৈদেশিক মুদ্রা/মাদক দ্রব্য/আগ্নেয়াস্ত্র/পুরাকীর্তি/বন্য প্রাণি/রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয় এরুপ সকল  বস্তু ইত্যাদি সহ আমদানি-রপ্তানি নিষিদ্ধ।  আপনি যদি এরুপ কোন পন্য চোরাচালান হবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন তাহলে  পণ্যের চোরাচালান সম্পর্কে এয়ারপোর্ট কাস্টমস-কে তথ্য দিন, সেই সাথে গোপণ সংবাদদাতা হিসেবে জিতুন আকর্ষণীয় আর্থিক পুরস্কার ও সম্মাননা। আপনার পরিচয় সংক্রান্ত গোপণীয়তা রক্ষা করা কাস্টমস এর ঐতিহ্য। বাংলাদেশ কাস্টমস অফিসার এর নাম্বার লিখে গুগলে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ আমাদের পোস্ট এ-ই পর্যন্ত পড়ার জন্য। আপনার বিদেশ থেকে আগমন শুভ হোক আমাদের এই প্রত্যাশা। আমাদের এই সাইটে নতুন নতুন ব্যবসায়ীক আইডিয়া শেয়ার করা হয় চাইলে দেখতে পারেন।


Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:
alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js